ইসলাম কোন কোন ক্ষেত্রে নারীকে সমান নয় বরং অনেক বেশি অধিকার দিয়েছে... Ab Kaium


লেখালেখিতে একেবারেই কাঁচা, তবুও সমাজের কিছু কিছু বিষয় এতটাই পিড়া দেয় যে সব ছেঁড়ে ছুড়ে বসে যাই, মনের তিব্র ক্ষোভ আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আজকে হঠাৎ করে মনে হল, চেষ্টা করে দেখি সেলিব্রিটি হওয়া যায় কিনা। মানে নারী অধিকার নিয়ে কথা বলব। ভাবতেছেন নারী অধিকার আন্দোলন আর সেলিব্রিটি হওয়ার সাথে সম্পর্ক কোথায়। সত্যিকার অর্থে নারী অধিকার না, নারী অধিকারের নামে নারীদের অধিকার খর্ব করা, তাঁদেরকে ভোগের সামগ্রী হিশেবে সমাজের স্বীকৃতি আদায় করা, তাঁদেরকে ছোট পোশাক পরে রাস্তায় বের করে বখাটে ছেলেদের হাতে শ্লীলতাহানি করা, পূর্ণ স্বাধীনতার নামে অধিক রাত পর্যন্ত নাইট ক্লাবে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়া, যারা এইধরনের কাজে বাঁধা দিবে আই মিন হুজুরদের গুষ্ঠি উদ্ধার করা। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে আমার উপরে ক্ষেপে গেছেন কিন্তু বিশ্বাস করেন, যারা নারী অধিকারের কথা বলছে তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য এইগুলি। আর এই কথা বললে রাতারতি সুশীল হওয়া যায়, মিডিয়ার নজরে আসা যায়। বাস্তবের নারী অধিকার তাদের উদ্দেশ্য নয়। একথা অবশ্যই মানতে হবে যে নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে রয়েছে, আমরা তাঁদের বাদ দিয়ে কোনভাবেই এগোতে পারবো না। সাইকেল চলার জন্য যেমন দুটি চাকারই ঘুরতে হয় তেমনি সমাজ ব্যাবস্থার অগ্রগতির জন্যও নারীপুরুষ উভয়েরই সমান ভুমিকা রাখতে হবে। 
কিন্তু বর্তমান সময়ে যে কাজটা হচ্ছে তা হল কিছু লোক ভালো মানুষের মুখোস পরে নাস্তিকতার ফেরি করছে। নারীর পোশাকের স্বাধীনতার কথা বলে ইসলামকে গালাগালি করছে, পর্দা বা হিজাবের সমালোচনা করছে। কিন্তু তারা কখনো নারীর অধিকার নিয়ে ইসলাম কি বলছে তা বোঝার চেষ্টা করেনি। আমি বলবো যারা নারী অধিকারের আন্দলনের নামে ইসলামী আইনের অপব্যাখ্যা করছে, নারী অধিকারের নামে যারা ধর্মহীনতার এজেন্ডা নিয়ে ঘুরছে তারা আসলে নারীর অধিকার নয় মুল্যবান জিনিষকে মুল্যহীন করার চেষ্টা করছে। আপনি কি লক্ষ করেছেন ইসলাম কোন কোন ক্ষেত্রে নারীকে সমান নয় বরং বেশি অধিকার দিয়েছে!! ইসলাম নারীকে সবকিছুরই পারমিশন দেয়েছে। নারী চাকরি করতে পারবে, নারী ব্যাবসা করতে পারবে, নারী সেনাবাহিনীতে যেতে পারবে, নারী রাজনীতি করতে পারবে, সকল কিছুরই অধিকার তাঁর রয়েছে। হ্যাঁ সাথে সাথে ইসলাম বলেছে এই সকল কিছুতেই নারীকে পর্দা করতে হবে। আপনার মনে হয় পর্দার বেপারটা পছন্দ হল না তাইতো? আচ্ছা বুঝিয়ে দিচ্ছি, নারীরা কেন পর্দা করবে। মনে করুন আপনার কাছে একটি ডায়মন্ড রয়েছে আপনি কি সেই ডায়মন্ড এখানে সেখানে ফেলে রাখবেন? সেই ডায়মন্ড নিয়ে অনিরাপদ ভাবে পথ চলবেন? নিশ্চয়ই না। কারণ যেকোনো সময় আপনি ছিনতাইকারীর কবলে পরতে পারেন। নারী হচ্ছে ডায়মন্ডের চেয়েও মুল্যবান, সম্মানিত। আপনি যদি বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা করেন, প্রতিটি ছাত্র, যুবক, পুরুষের হাতে হাতে ইন্টারনেট রয়েছে। এইমাত্র সে ভিডিওতে দেখেছে কি ভাবে রেপ করতে হয়, বন্দুর ফোন পেয়ে লিফট দিয়ে নিচে নামছে আর আপনিও তখন অর্ধ নগ্ন পোশাক নিয়ে লিফটে উঠেছেন আপনার আকর্ষিত দেহ যুবক ছেলেটির মধ্যে পশুত্য আচরন জাগিয়ে দিয়েছে, আজকে যদি আপনি হিজাব পরিহিতা হতেন হয়তো এইরকম অভদ্রতার শিকার হতেন না। রাত জেগে যুবকটি পর্ণগ্রাফি দেখেছে দিনের বেলা বাসে করে কোথাও যাচ্ছে, আপনি অর্ধনগ্ন দেহ নিয়ে তার পাশের ছিটে বসেছেন অসংখ্য মানুষের ভিরে আপনি তার পাশবিক আচরনের শিকার হলেন। আজকে আপনি হিজাব পরিহিতা হলে হয়তো এই পরিস্থিতি ফেইচ করতে হতো না। সর্বোপরি কথা হল পুরুষদেরকেও ''মানুষ'' হতে হবে, আল্লাহ তায়ালা নারীদেরকে যেমন পর্দা করা ফরজ করেছেন তেমনি পুরুষদেরকেও দৃষ্টি সংযত করতে বলেছেন। যেখানে দৃষ্টি সংযত করতে বলেছেন সেই অবস্থায় আপনি হাত বাড়ান কোন সাহসে? বর্তমান সময়কে বলা হয় সভ্যতার যুগ আপনার কাছে যদি কারো মা বোন নিরাপদ না হয় তাহলে তো আপনি সভ্য যুগের সেই অসভ্যই রয়ে গেলেন। ভালো থাকুক, অধিকার, পূর্ণ সম্মান নিয়ে বেচে থাকুক প্রতিটি মা বোন। .........
Ab Kaium

Comments