ডাক্তারদের চিকিৎসা নামক হয়রানি। লেখিকা তানজিলা আমিন।
এভাবে আর কতদিন চলবে...?
দিনে দিনে মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পরছে।। কেউ বা আবার বেঁচে থেকেও মৃত্যুর সাধ গ্রহন করছে প্রতিনিয়ত। মাহান সৃষ্টিকর্তা যখন পরপারে নিয়ে জাবে তখনই প্রতিটি মানুষ মৃত্যু কে গ্রহন করবে আর এটাই জন্ম থেকে জেনে এসেছি। এমনকি এই নিয়মেই আমাদের মাঝ থেকে কারো প্রিয়জন কারো কাছের মানুষ চলে যায় না ফেরার দেশে।। আর এটাই আমরা মেনে আসছি যুগযুগ ধরে।। তবুও আমরা একটু বাঁচার জন্য এই সুন্দর পৃথিবীটাকে উপলব্ধি করার জন্য হাজার বছর বেঁচে থাকার প্রার্থনা করি।। যখন কোন অসুস্থতা আমাদের শরীরকে স্পর্শ করে তখন কিন্তু আমরা কেউই মরে যাবার চিন্তা করি না। বেঁচে থাকার জন্য আপ্রান চেষ্টা করি।। আর ঠিক ওই মুহুর্তে আমরা সৃষ্টিকর্তার পর ডাক্তার এর উপর ই বিশ্বাস করি ভরসা করি।। এই ভেবে যে ডাক্তার এর একটু চিকিৎসায় আমি হয়তো ভালো হতে পারবো হয়তো এই পৃথিবীটাকে সুন্দর ভাবে উপলদ্ধি করতে পারবো। ঠিক তখনই এই বিশ্বাস টাকে কাজে লাগিয়ে ওই সব মানুষ নামের অমানুষ গুলো চিকিৎসার নামে নোংরা খেলা খেলে। ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে দিন এর পর দিন ঠেলে দেয় মৃত্যুর মুখে।। প্রতিনিয়ত নিউজ ফিডে ভূল চিকিৎসার নিউজ দেখতে দেখতে আমি বড় ক্লান্ত।।
আজ কে একটা ভাই এর পোষ্ট দেখলাম তার সাথে করা অন্যায় ও তার জীবনের গল্প গুলো পরার পর নিজেকে আর এই লেখাটা থেকে শরিয়ে রাখতে পারলাম না।।
ভদ্রলোক আমার মা এর পেটের ভাই ও না, না কোন পূর্ব পরিচিত, তবুও সে যখন ভূল চিকিৎসার জন্য আজ মৃত্যুভয় নিয়ে বেঁচে আছে। তখন আর থেমে থাকতে পারলাম না, পারলাম না আমার নির্বাক চোখ দুটিকে অশ্রুর কাছে থামিয়ে রাখতে, খুব কষ্ট হচ্ছে ভাইটার জন্য।। দিন দিন এই নোংরামি বেড়েই চলছে অবিরত।। এমন কি আমার ই চাচাতো ভাই জন্ম হওয়ার ২০ দিন এর মাথায় মারা যায় শুধু মাত্র এই ভূল চিকিৎসার জন্য।। এই রিপোর্ট সেই রিপোর্ট স্ক্যান, এক্সরে এই টেস্ট ওই টেস্ট করতে করতে প্রাই ৫ লাখ এর উপরে টাকা শেষ করেছে।। ওত টুকু বাচ্চা কি এমন হইছিল যে যার জন্য এত টেস্ট এত রিপোর্ট?
কে দিবে এর উত্তর??? ১৫ দিন এভাবে করার পর বরিশালে পাঠালো তারপর ওই খানেও সেইম কেস।ওখান এর চিকিৎসক বলল ঢাকা নিয়ে যেতে তারপর ঢাকা নিয়ে আইসিওতে রাখার ২ দিন পর উক্ত হসপিটাল এর চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করল।
ওই সমস্ত পিশাচদের কাছে জীবনের কোন মূল্য নেই, নেই মায়ের চোখের জলের মূল্য। নিষ্পাপ সেই বাচ্চাটার জীবন অনায়াসে ঝড়ে পরে। নিষ্ঠুর এই পৃথিবীটাকে চোখ মেলে দেখার আর মায়ের আদর উপলদ্ধি করার ভাগ্য হল না আদম শিশুটির।। কি নির্মম! কি নির্মম! কোন সমাজে আমাদের বসবাস। হায় আল্লাহ্!!! কেন এই গুলো দেখতে হচ্ছে। ধিক্কার জানাই ওই সব পশুদের যারা চিকিৎসার নামে ব্যাবসাকে বেঁছে নিয়েছে হাতিয়ার হিসেবে।। দিন এর পর দিন ধ্বংস করে দিচ্ছে এক একটা জীবন।। পরিশেষে ফলাফল মৃত্যু।। এমনটাই ঘটে আসছে প্রতিনিয়ত! জনসাধারন এর টাকা চুষে নিঃস্ব করে দেয় আর বাড়িয়ে দেয় তাদের পরিবার পরিজনের হাহাকার।। অথচ তাদের একটু চেষ্টা আর সচেতনতাই পারে সেই সব মানুষদের পূর্নজীবন দিতে।।। 😶😐
লেখিকা - তানজিলা আমিন।
fb link https://mbasic.facebook.com/profile.php?id=100014723431529&refid=46&sld=eyJzZWFyY2hfc2lkIjoiZTI1MDI1NzE5MmU1NDFmMzllYjBhYTM1YWI1M2FkYWMiLCJxdWVyeSI6IlRhbmppbGEiLCJzZWFyY2hfdHlwZSI6IlNlYXJjaCIsInNlcXVlbmNlX2lkIjoxMDI5MjkxMjMsInBhZ2VfbnVtYmVyIjoxLCJmaWx0ZXJfdHlwZSI6IlNlYXJjaCIsImVudF9pZCI6MTAwMDE0NzIzNDMxNTI5LCJwb3NpdGlvbiI6MCwicmVzdWx0X3R5cGUiOjIwNDh9&fref=search
Comments
Post a Comment